নদীর কিনারে, এসে ঠেকে ভেলা;
হাটের দিন, সহস্ত্র মানুষের মেলা;
কখন এসে, উপস্থিত সন্ধ্যাবেলা;
পশ্চিমে রঙ, মিশে যাওয়া খেলা।
গরুর গাড়ি, ঘুরছে চাকার বেড়া;
হাওয়ায় গাছের,পাতার নড়াচড়া;
মনেতে গুনগুন, করে সুর ছেঁড়া;
তবু আগুনে, চিতায় পোড়ে মড়া।
শঙ্খধ্বনি চিরে,যায় বনে ভিতরে;
সাঁঝবাতি জ্বলে, ওঠল ঘরে ঘরে;
বেদনার সুর, সব গেলো মন মরে;
দোলা দেয়না, প্রেম আর অন্তরে।
মেটে পথের, গন্ধে ভেসে আকাশে;
শিউলির গন্ধ,মিশে গেছে বাতাসে;
টুকরো মেঘের, সন্ধ্যা নামার শেষে;
খেলে সব, দল বেঁধে ভাসার রেষে।
পুকুরের জলে, ঢিল ছুঁড়লে ফেলে;
তরঙ্গের শিক্ত, বদনের দেখা মেলে;
ছেলেদের দল, ফিরে আসে খেলে;
মধু ঢাকি, বাজে ঢাকে তালে তালে।
চূমুক দিয়ে, রেখে চায়ের পেয়ালা;
ধুলো জমে, দেখ তোর সে বেহালা;
ফেরি করে, বেড়ানো ফেরিওয়ালা;
মনে পড়ে, কবি সে কাবুলিওয়ালা।
শান্ত এই, পরিবেশে তবু যে কেনো;
সুখ সব, লাগে বড়ো অস্থির যেনো;
স্মৃতির তরী, আঁধার জলে ডুবানো;
তবু সেই, সন্ধ্যায় তে বাতি নেভানো।
ফুটে ওঠে, ঠোঁটে সে অস্ফুটে বানী;
মুছে যায়, সবই বেদনার তবে গ্লানি;
হৃদয় তবু, রয়ে গেল সেই আধখানি;
ভালোবাসা আজকেরও, অভিমানি।