আনন্দ পলিটিক্যাল সায়েন্সে এম.এ কমপ্লিট করার পর ইউ.পি.এস.সি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নিলো। বাড়িতে সেই কথা শুনে বাবা হরিপদ দাস ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। কলকাতার একটি বেসরকারি ফার্মের হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন ভদ্রলোক। নিম্ন বিত্ত পরিবারের ছেলের এহেন স্বপ্ন ...
Tipsweb.org Latest Writings
অলি গলি ডাকবাক্স, খোঁজা রাঙতা মোড়া খেয়াল। ছাদ কার্নিশে আগাছা, উদাসীন প্রেম ভাঙা দেওয়াল। কিছু কালজয়ী বিষাদের সুরে, কাঁদছে যেনো সেতার। শহর অভিমানে লোডশেডিং, গান শোনাচ্ছে বেতার। পশলা বাদল তবুও ...
আজ অসীমের বিবাহ বার্ষিকী। নয়নের জন্য কি উপহার নেবে সারাদিন ঠিক করতে পারলো না। শেষমেশ অফিসের কলিগ তৃষার থেকে আইডিয়া নিল যে সুন্দর একটা রোদ চশমা সে কিনবে দোকান থেকে। সেই মত সালকৌসি চত্বর ঘুরে নীল বাজারে চশমা পট্টি তে ...
তোমাকে পাওয়া হলো না, কারণ তুমি আল্লার খাস বান্দা। আমি যে ব্যবসা করি বটে, ধর্ম আমার নিকটে এক ধান্দা! তোমাকে পাওয়া হলো না, কারন তুমি নামাজ কোরান পড়। আমি যে সেসব বিক্রি করি, আরবি শব্দ দেখা মাত্র জড়সড়! তোমাকে পাওয়া হলো না,
জয়ন্ত ও স্মিতা এক অফিসে কর্মরত হলেও তাদের সেকশন আলাদা। শুধু সেকশন না কাজ ও বয়সে স্মিতা জয়ন্তর থেকে সিনিয়র। চার বছর আগে স্মিতা তাদের দপ্তরে ঢোকে এবং রিসিভিং সেকশানে তাকে পাঠানো হয়। চার বছর পর জয়ন্ত একই পরীক্ষা দিয়ে ...
ধরো তোমার সংখ্যালঘু হৃদয়ে জমছে ছত্রাক স্যাঁতসেতে মগজে চলছে নগ্ন লড়াই ধারবাকীতে যদি বেয়নেট চোখে ফাঁস হয় বারুদ তবে শিরা ওঠা পাঁজরার ফাঁকফোকর চাপা দিতে মিহি সুতোয় বোনা একটা কাঁথার কত দাম হবে প্রতিরাতে সহবাস রেশনের চালে ডালে কিস্তিতে তবু প্রেমিকাকে চুমু খেতে হাজারো ফিরিস্তি জারি করো কেন নিয়মিত দরমার ...
এক ফালি রোদ, মেঘের আড়ালে ফুল হয়ে ফোটে। কথা আলগোছে, ছুঁয়ে আছে মিষ্টি তার দুই ঠোঁটে। পাহাড়ের ঘেরায়, শিমূলের মাঝে থাকে সে দেশে। ছোট্ট ঘরটার, একলা মেয়েটা হাসে ভালবেসে। উলের কাঁটা, আঙ্গুলের ফাঁকে সোয়েটার বোনে। পিরিয়ড শেষে, আকাশে চেয়ে পাখিদের গোনে। প্রেমের হাতছানি,
ছেলেবেলা থেকেই মনিরুল ধর্ম নিরপেক্ষ। নিজের ধর্ম যেমন সে পালন করে একনিষ্ঠ ভাবে তেমন অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করা এবং সেই সকল ধর্মের অনুষ্ঠানে নিজেকে নথিভুক্ত করার অভ্যাস সেই ছোট থেকেই। একদিকে আব্বার কোলে ঘুরে ঘুরে যেমন প্রতিমা দর্শন করেছে তেমন ...
পানির উপরে নুড়ি! ওঠে কী জলের তল? প্রতিসরাঙ্কের তুড়ি, বৃথা হইলো কর্মফল! চালের পরে কাঁকর! অঙ্কিত নবান্নে কাহিনী। রোপন জমি ফাঁপর, বড়লোক চাষী বাহিনী! আকাশে ভেসে ঢিল! স্বপ্নে প্লেনের ককপিট। ল্যান্ডিংয়ের গরমিল, চিল ছিঁড়ে খেলো সীট! মাটির নীচের বালি! সোনালি রঙে চকচক। ক্রেতায় হাঁকে খালি, জহুরি করছে বকবক।
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে অরিত্র কে পিক আপের দায়িত্ব ছিল তরুন সদস্য দলে সদ্য যোগ দেওয়া বুলাশর ওরফে বুলার। কথাটা লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার রাজীব গুহ অবধি পৌঁছতে বেশি দেরি হলো না। লালবাজারের হাতে খোঁচড়ের অভাব সেই ইংরেজ জমানা থেকে ...