মহর্ষি বাল্মীকির ইতিহাস?
একজন বনবাসী ডাকাত ছিলেন, পরিবারকে রক্ষা করার জন্য তিনি মানুষকে লুট করতেন। একদিন ঋষি নারদের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর পাপের ভার কেউ ভাগ করে নিতে প্রস্তুত নয়। এই উপলব্ধি তাঁকে গভীর অনুশোচনায় ডুবিয়ে দেয়।

মহর্ষি বাল্মীকির ইতিহাস (সংক্ষিপ্ত বিবরণ):
মহর্ষি বাল্মীকিকে হিন্দুধর্মের একজন মহান ঋষি এবং আদিকবি হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ‘রামায়ণ’ মহাকাব্যের রচয়িতা।
প্রাথমিক জীবনে তাঁর নাম ছিল রত্নাকর। তিনি একজন বনবাসী ডাকাত ছিলেন, পরিবারকে রক্ষা করার জন্য তিনি মানুষকে লুট করতেন। একদিন ঋষি নারদের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর পাপের ভার কেউ ভাগ করে নিতে প্রস্তুত নয়। এই উপলব্ধি তাঁকে গভীর অনুশোচনায় ডুবিয়ে দেয়।
তিনি একটি গহীন অরণ্যে গিয়ে বহু বছর তপস্যা করেন। তপস্যার সময়ে তাঁর গায়ে পিঁপড়ের ঢিপি (বাল্মীক) গড়ে ওঠে, তাই তাঁর নাম হয় বাল্মীকী।
তপস্যার ফলে তিনি ঋষি রূপে পূজিত হন এবং পরে রামচন্দ্রের জীবনকাহিনী শুনে ও ঈশ্বরের আদেশে তিনি রামায়ণ রচনা করেন – যা পৃথিবীর প্রথম মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত।
তিনি শুধু কাব্যিক প্রতিভায় নয়, আধ্যাত্মিক জ্ঞানে ও নীতিবোধেও অনন্য। বাল্মীকি আশ্রমে সীতার আশ্রয় দেওয়া ও লব-কুশের লালন-পালনও তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
🔸 মূল বার্তা: একজন সাধারণ মানুষও অনুশোচনা, সাধনা ও সত্যের পথে চললে মহান হতে পারে – বাল্মীকি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।