নিরুপমের দিদি শিখার বিয়ে হয়েছিল কলকাতার বাসিন্দা প্রিয়তোষের সাথে দুবছর আগে। তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মচারী প্রিয়তোষ আদতে মফস্বলের বাসিন্দা হলেও পিতা মাতা কে নিয়ে যাদবপুরে ফ্ল্যাট কিনে সেখানেই বসবাস করে। যাদবপুর থেকে বাসে সেক্টর ফাইভে যাতায়াতের সুবিধার কারণে তারা সেখানে দুই বেড রুমের একটি ফ্ল্যাট কেনে। গ্রামের সহজ সরল মেয়ে শিখা কে প্রথম দেখেই পছন্দ করেছিল প্রিয়তোষের বাবা,মা,দিদি ও জামাইবাবু। প্রিয়তোষ মত দিলে ধূমধাম করে বিয়ে হয় দুজনের। গ্রামের পুকুরের মাছ,দেশী মুরগী খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়ে গিয়েছিল বরযাত্রী। তাই বিয়ের পরেও শিখার বাবা শ্যামল দাস মেয়ের বাড়িতে নিজে বা ছেলেকে দিয়ে পুকুরের মাছ,গ্রামের দেশী মুরগি,টাটকা শাক সবজি পাঠিয়ে দিত মাসে মাসে।
হঠাৎ প্রিয়তোষ বাথরুমে পড়ে গিয়ে একদিন হাত ভেঙে বসলো। বাড়িতে এখন ডাক্তার প্রায় চৌদ্দ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। শাশুড়ী নমিতা দেবী ফোনে জানতে চাইলেন জামাই কি খেতে চায় নিয়ে যাবে। উত্তরে খাদ্য রসিক প্রিয়তোষ জানালো হাঁসের ডিম যদি গ্রাম থেকে নিয়ে আসতে পারেন এক ডজন মন্দ হয় না।
শোনা মাত্রই নমিতা দেবী ছেলে নিরুপম কে পাঠালেন হাঁস মুরগি পোষা সালেহা বিবির কাছে এক ডজন হাঁসের ডিম কেনার জন্য। নিরুপম ডিমের দাম জিজ্ঞেস করায় সালেহা বিবি জানালো ছয় টাকা দাম দিতে হবে ডিম প্রতি। নিরুপম বারোটা ডিম নিয়ে হিসেব করে দেখলো বাহাত্তর টাকা হয়েছে। সে সালেহা বিবি কে সত্তর টাকা হাতে দিলে তিনি হাঁস গুলোর দিকে দেখিয়ে বললেন বাবু অবলা জীব বড়ো কষ্ট করে ডিম দেয়
অবলা জীবের প্রসব বেদনার চিত্র নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন