ইন্দ্র আর সুদীপ দুজনে বন্ধু হলেও এলাকবাসীর কাছে ইন্দ্র যতটা গ্রহণযোগ্য, সুদীপ ঠিক ততটাই চোখের বিষ।দুজনের বাড়ির লোক ও ভাবে প্রথম সারির দিকে থাকা ইন্দ্রের সাথে দুই বার ফেল করা সুদীপের বন্ধুত্ত্ব হলো কি ভাবে। যেখানে ইন্দ্রের বাবা সমাপন বাবু সামান্য চায়ের দোকান চালায় সেখানে সুদীপের বাবা দেবজিত রায় এলাকার কাউন্সিলর। সেই জন্য হয়তো এত বাড় বাড়ন্ত সুদীপের। বাইক, মদ আর মেয়ে আসক্ত সুদীপ কে এলাকা হোক বা স্কুল কোথাও কদর নেই। কিন্তু গরীব অথচ মেধাবী ইন্দ্র সকলের প্রিয়।
এবারে পুজোয় দুজন একসাথে বেরলো, সাথে সুদীপের আরো কয়েকজন বন্ধু ছিল। তারা উত্তর কলকাতায় ঠাকুর দেখার প্ল্যান করেছিল। সেই মত সন্ধেয় বের হয়ে তারা প্রায় রাত দুটো অবধি ঠাকুর দেখা, খাওয়া দাওয়া করা, আড্ডা ইয়ার্কি করে এসে হাজির হলো সোনাগাছির পতিতালয়ে। ইন্দ্র দেখলো সারি সারি সুন্দরী মেয়েদের দাঁড়িয়ে থাকতে খদ্দের আসার অপেক্ষায়। সুদীপের মুখে এই জায়গার কথা সে আগেও শুনেছে তাই বুঝতে বাকি রইল না ইন্দ্রর যে সুদীপ আগেও এসেছে এখানে আর আজ সে তার তেষ্টা না মিটিয়ে যাবে না। হলো ঠিক তাই, সুদীপ ও তার বন্ধুরা দর কষাকষি করে যে যার মত একজন সঙ্গী নিয়ে ঘরে ঢুকে গেল। একা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দুজন মাঝ বয়সী মেয়ে এসে ইন্দ্র কে হেসে বললো কি গো নাগর তোমার তেষ্টা পায়নি। উত্তরে ইন্দ্র ঘাম মুছতে মুছতে বললো হ্যাঁ দিদি সেই সন্ধ্যা থেকে ঠাকুর দেখছি জল খাওয়া হয়নি একটু জল দেবেন দিদি সত্যি বড় তেষ্টা পেয়েছে।
Asat sange norok bas
Ekdom tai