বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও প্রণয় ঘটিত কারণে একরকম কবিতার সাথে গা ঠোকাঠুকি হয়েই গেলো আতিকুলের। দীপশিখা কে কবিতার মাধ্যমে ইমপ্রেস করতে গিয়ে কবে যে নিজেই কবিতার প্রেমে পড়ে গেলো জানত না আতিকুল। কলেজ জীবন থেকে এই লেখালিখি শুরু করলেও একবার অনলাইনে ম্যাগাজিনে কবিতা দেওয়া ছাড়া কোথাও সে ছাপানোর কথা ভাবিনি। ওই অনলাইন পত্রিকার কোঅর্ডিনেটর রীধিমা ছিল ওর কলেজের জুনিয়র, তার সুপারিশই এই কবিতার ছেপে যাওয়ার মূল কারণ মনে করতো আতিকুল।
কবিতা গুলো সে কোথাও তুলেও রাখত না মোবাইলে লিখে মোবাইলে একে তাকে পাঠাতো সে আর মাঝে মধ্যে স্ক্রিন শট তুলে নিত। তাই তাকে মোবাইল কবি, হোয়াটসঅ্যাপ কবি বলেও খাপাত অনেকে।
আজ দীপশিখার সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই আছে কেবল একটি সরকারি চাকরি। সেই কর্মস্থলের দেওয়াল পত্রিকা তে এবার কবিতা দিলো আতিকুল। দুটোর মধ্যে একটা সিলেক্ট হলো এবং দেওয়ালে লেখা দেখে অনেকের মনে ধরলো। তার এক সহকর্মী ধীমান তাকে প্রস্তাব দিলো যে একটা ওয়েব পেজ ডেভেলপ করা হোক যৌথ ভাবে যেখানে আতিকুল দেবে কবিতা আর সে দেবে অনুগল্প। আজ তাদের কবিতা আর অনুগল্প অনেক ইউটিউব চ্যানেল এ পড়া হয় ও সাহিত্য প্রেমীদের মনরঞ্জন করা হয়। আতিকুল ভাবে তার জীবনের ‘দ’ র জায়গায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল বন্ধু ও সহকর্মী হিসাবে পূরন করলো ধীমানের ‘ধ’।