পথ,,,,
অন্ধকার নামে সূর্যাস্তের আশেপাশে
অভাগীরা খালি গায়,
হয়তো এই মাটি তার নয়
তবু রোজ হাসে
বটের ছাতার নিচে অক্ষত সংসার
পাতা ছিল এক কালে ,
সস্তা দিক ভুলে ছিটকেছে বাপ তার মহাকাশে
মায়ের কপাল থেকে ঘষেছে যে নক্ষত্র
তাকে নাকি তারা খসা বলে !
অনেক কিছুই ছিল
লাউ শাক ,পুঁই শাক মিলেমিশে একাকার
চালা ঘরে রেশনের মোটা চাল ,নুন ছিল
হ্যারিকেন ভরা ছিল কেরোসিন
খুব ভোরে কুয়াশার মতো ঝুলে থাকা
ময়লা মশারিয় সভ্যতার ধ্বংসস্তূপ এর মতই
ছিল খানিক উত্তাপ , মায়ের বুকের জং ধরা হুকে !
অজান্তেই দিন দিন কম ছিল গড় আয়ু
এক থেকে দশ নামতার ঘর পুড়ে, জড়ো করে
আঁচের আগুনের উপর , রুপালী আহত আওয়াজ !
কয়লা ভাঙ্গায় শোনা যায় হৃদপিন্ডের আস্ত কম্পন
একটু একটু তাপ এগিয়ে যায় ,
আরো জোরে ফুটে ওঠে মোটা চাল !
তারপর ,,
একটু একটু করে কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উঠে
কাল ঘুম থেকে অবশেষে মায়ের স্বর্গে যাওয়ার
পথ নিশ্চিত হয় ,সৃষ্টি হয় এক মেঘরাজ্য ,
হাতের কাছে চৌরাস্তার মোড়ে একটুও যানজট নেই
সামনে একটা ম্লান মুখ দ্বিধাহীন !
মাতৃ বুকে ঝাঁপ কাটে আগামীর অভাগীরা
হঠাৎই বেজে ওঠে কারখানার অন্তিম বাঁশি ।
©Hasina Anjum Monalisa