সূর্যের মতো সাম্যবাদী ,
দিগন্তে চেয়ে থাকা শূন্য চোখ!
সুবিন্যস্ত আকাশের পাঁজর ভেদ করে
দৃঢ় বৃক্ষের ছায়া হয়ে বুকে হেঁটে চলেছে
অন্তহীন আদিম সরীসৃপ।
পিঠে তার প্রাগৈতিহাসিক বোঝা।
কাগজ কলম ,চশমা, ওষুধের বাক্স মাসকাবারি খাতা, বাজারের ব্যাগ, দাঁড়ি কমা আরো কত কি, কত ব্যাথা! সন্ধ্যেবেলায় পড়তে বসে ইতিহাস বই ঘাঁটা
ভেঙে যাওয়ার সাম্রাজ্যের কারণ কিংবা টিকা
আজ তোমার কাছে পড়তে বসবো,মুখস্থ সব,
পয়লা বৈশাখ নতুন ভোর কবিতার লাইন চা বিস্কুট
যত আবদার,
একটা রবিবার …
লুচি তরকারি ,নাটকের মহড়া
তোমাকে না পাওয়ার অভিমানী ভরদপুর
তবুও শূন্যের ভিতর তোমার শেখানো স্বাধীনতা!
দুধ সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি আর শখের চটি জোড়া, কেরোসিন ,কয়লা ঘুঁটে ,টানাটানি গোলমেলে সন্ধি আগাগোড়া ,
শুধু মাছ ভাত,
বুকের ভিতর শত শত ক্যাকটাস
মরুদ্যানের জলের দাবিতে জেগে ওঠা ক্ষত,
আজও নিষ্প্রাণ চুপ যত
আগরবাতির অনাগত দীর্ঘশ্বাস!
একটু পরেই শুরু হবে স্থানীয় সংবাদ!
ধোঁয়া ওঠা কার্বন আর চেনা রিংটোন
বেড়ে ওঠে স্তব্ধতা , আমার স্বাধীনতা !
একবার ফিরে এসো একবার আরও একবার
বাবা,,,,
আমি আমার পিতৃভূমির সেই অনুপ্রবেশকারিণী,
আজ ও হার মানিনি !
একবার দেখে যাও আমার নাগরিকত্বের লড়াই ।।
©Hasina Anjum Monalisa
কবিতার জয় হক