জয়ন্ত ও স্মিতা এক অফিসে কর্মরত হলেও তাদের সেকশন আলাদা। শুধু সেকশন না কাজ ও বয়সে স্মিতা জয়ন্তর থেকে সিনিয়র। চার বছর আগে স্মিতা তাদের দপ্তরে ঢোকে এবং রিসিভিং সেকশানে তাকে পাঠানো হয়। চার বছর পর জয়ন্ত একই পরীক্ষা দিয়ে ঢোকে স্মিতার দপ্তরে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ পলিটিক্সের কারণে জয়ন্ত দের জয়েনিং পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। জয়েনিং কবে হবে জানতে এলে তাদের কে বলা হতো নিয়োগকারী সংস্থা নাকি নির্বাচিত ক্যান্ডিডেট গুলোর নামের তালিকা দপ্তরে পাঠায় নি। সুতরাং জয়ন্তদের বলা হয়েছিল রিসিভিং সেকশনে এসে খোঁজ নিতে মেধাতালিকা পৌঁছেছে কিনা।
এইভাবে ম্মিতার সাথে পরিচয় ঘটে জয়ন্তর। রিসিভিং সেকশনে খোঁজ নিতে প্রায় অন্যদের সাথে হবু অফিসে আসত জয়ন্ত। জয়ন্ত দের দেখে খারাপ লাগতো তাই স্মিতা নিজের নম্বর জয়ন্ত কে দিয়ে বলে আপনার আসার দরকার নেই ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে নেবেন আমাকে জানিয়ে দেবো। সেই থেকে প্রাসঙ্গিক অপ্রাসঙ্গিক দুই ধরনের কথাই শুরু হয়েছিল তাদের মধ্যে।
আজ এক বছর পরে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে জয়েনিং পেলো জয়ন্ত। কৃতজ্ঞতা জানাতে স্মিতার জন্য সুন্দর একটা শাড়ী সে প্রথম মাসের মাহিনা পেয়ে উপহার হিসাবে দেবার জন্য অফিসের ব্যালকনি তে ডাকলো। শাড়ীটা খুলে দেখে স্মিতা নিজের মুখটা জয়ন্তর কানের কাছে নিয়ে গিয়ে খুব নীচু স্বরে বললো যে শাড়ী টি সে তবেই নেবে যদি জয়ন্ত দের ছাদে সারাজীবন এরকম শাড়ী সে রোদে শুকাতে দিতে পারে।
বসন্তের হাওয়ায় স্মিতার চুল গুলো জয়ন্তর মুখে এসে পড়ল।
মন ছোঁয়া লেখা।
ধন্যবাদ আপনাকে
বা ভাই বাহ্
ধন্যবাদ