বিভাগ – ” অণুগল্প”
শিরোনাম -” অসমাপ্ত প্রেম”
রচনা- প্রহ্লাদ কুমার প্রভাস (pk)
রচনাকাল- 27.02.24
জমা- 08.03.24
অভিরুপ আর অণুপমা দুজন খুব ভালো বন্ধু সেই স্কুল লাইফ থেকে। একসাথে দুজনের চলাফেরা উঠাবসা। বলতে গেলে খাওয়া দাওয়াও প্রায়ই একসাথেই হয়। কারণ তাদের দুজনের বাবা খুব ভালো বন্ধু একে অপরকে ছাড়া থাকতেই পারে না। সেই হিসাবে তাদের চলাফেরা, মেলামেশা। একে অপরের বাড়িতে যাওয়া আসা খাওয়া দাওয়া। তাদের এই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেম বা ভালোবাসার রুপ নেয়। আর সেই ভালোবাসা এতটাই গাঢ় যে তারা যদি একে অপরে কে এক দিন না দেখতে পাই তাদের দিনটাই ঠিক কাটে না। মূলত তাদের বাবাদের ব্যবসায়িক সূত্রে তাদের বন্ধুত্ব হয় আর সেখান থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক। একদিন অণুপমা ছুটতে ছুটতে এসে অভিরুপ কে জড়িয়ে ধরে আর কাঁদতে থাকে আর বলতে থাকে ” অভিরুপ, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না আমি মরে যাবো। যদি তোমার আমার না হও তাহলে আমিও আর এই পৃথিবীতে থাকব না। তুমি আমাকে ছেড়ো না, বলো না ছাড়বে না তো তোমার এই পাগলিকে। বলো না, গো”।
অভিরুপ হঠাত এমন কথায় একটু চমকে যায় এবং অবাকও হয়। সে মাথা ঠাণ্ডা করে তার বুক থেকে অনুপমার মাথাটা তুলে চোখের জল মুছতে মুছতে বললো ” আরে পাগলী, কি হলো হঠাত এমন কথা বলছো? আর কানছোই বা কেন? দেখো আমার দিকে তাকাও। এই পাগলী চোখ মুছো আর বলো কি হয়েছে। আমি তো তোমারই”।
অণুপমা একটু শান্ত হয়ে বলল ” আমাদের ব্যবসায় প্রচুর লস হয়ে গেছে আর তোমার বাবা আর আমার বাবা যে ইনভেস্ট করেছিল তার সব টাকাই নাকি তোমার বাবা নিয়ে ফ্লাট পালিয়ে গেছে। আর এটা নিয়ে আমার বাবা তোমার মাকে গিয়ে ঝগড়া করছে আর বলছে আমাদের সব সম্পর্ক এখানেই শেষ আমাকে কালই আমেরিকা পাঠিয়ে দিবে। আমাকে বাঁচাও।
পরদিন সকালে অণুপমাকে টেনে হিজড়ে প্লেনে তুলে দেওয়া হলো সে যাওয়ার সময় শুধু একটা কথায় বারবার বলছিল ” অভিরুপ, অভিরুপ আমি যদি তোমার না হই তাহলে ওখান থেকে আমার লাশ আসবে। আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও।
একটা ভুলবোঝাবুঝি শেষ করে দিল একটা নিষ্পাপ ভালোবাসা যেখানে অভিরুপের বাবার কোন দোষ ছিল না ওই রাতে অভিরুপের বাবা পালায়নি বরং তার কিডন্যাপ হয়েছিল। যার খোঁজ আজও মেলেনি।
good