সন্ধ্যা পাগলী মধুপুর গ্রামে আসে দশ বছর আগে। এলাকায় পলাশ মণ্ডলের বাড়ির বাইরে কোন এক সন্ধ্যায় উনুন ধরিয়ে রান্না বসায়। পলাশ তখন একাদশ শ্রেণীতে পড়তো। সন্ধ্যা কে দেখে তার মায়া হয়। বাড়িতে সামান্য মুড়ি আর সন্দেশ ছিল তাই সে তাকে খেতে দেয়। আসলে সন্ধ্যায় এরকম আগন্তুক এক অতিথি আসার কারনে তার নামকরণ হয় সন্ধ্যা। পলাশের মা সন্ধ্যার জন্য কাপড়ের ব্যবস্থা করেন এবং সেই সাথে দুবেলা দুমুঠো অন্ন। দেখতে সুন্দর দীর্ঘকায় ফর্সা সন্ধ্যার শরীরের প্রতি তাই লোভ ছিল এলাকায় অনেকের। সেই দলে বাদ গেল না পলাশের পিতা দীনেশ মন্ডলের।
একদিন শনিবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে (পলাশ ছিল স্কুলে আর তার মা গেছিল মন্দিরে পূজো দিতে) দীনেশ তার ক্ষিদে মেটানোর জন্য তার দুই সাগরেদ নিয়ে সন্ধ্যা কে তুলে নিয়ে যায়। পেশায় ড্রাগ ব্যবসার সাথে যুক্ত দীনেশ আর তার দুই সঙ্গী হাসেম ও পিন্টু মিলে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু ভাগ্যচক্রে সেদিন শনিবার থাকায় পলাশ অর্ধ দিবস স্কুলে কাটিয়ে ফিরে আসে । বাড়ি ফিরে সন্ধ্যার দেখা না পেয়ে সে বাড়ির পিছনে যায় খুঁজতে কারন সন্ধ্যা প্রায় তাদের বাড়ির পিছনে জঙ্গলে কিসব হাবিজাবি নম্বর লিখত। সেখানে তার পিতা ও সঙ্গীদের এরূপ সন্ধ্যার সাথে ধস্তাধস্তি করতে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে সন্ধ্যা কে উদ্ধার করে পলাশ। সেদিন রাতে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সন্ধ্যা আর পরদিন নারকোটিকস ব্যুরো দীনেশ ও তার পুরো ড্রাগ কার্টেল বাজেয়াপ্ত করে।
আজ দশ বছর পরে পলাশ বালিগঞ্জের একটি বহুতল আবাসনের আন্ডারগ্রাউন্ডে একটি ঘরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারভিউয়ের চিঠি হাতে বসে। দরজা খুলে যখন সে প্যানেল রুমে ঢুকলো, দেখল ঠিক মাঝখানের চেয়ারে বসে সন্ধ্যা, সামনে নেম প্লেটে লেখা সুনয়না বোস, জয়েন্ট কমিশনার, ইস্টার্ন ডেস্ক, আইবি ।
অসাধারণ একটা সত্য কথা বর্ননা আছে।
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো ♥️
ধন্যবাদ দাদা
Unexpected
Dhonnobad
সুনয়নার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ধরন পুরোপুরি ভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ধন্যবাদ