হাট্রিকস কোম্পানির কর্নধার হার্শেদ কেসরিওয়ালার বাড়িতে নিজের টিম নিয়ে পৌঁছল রোহন কুমার। প্রায় পনেরো লক্ষ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ উঠেছে এই রোবট নির্মাতা কোম্পানির উপর। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে অটোমেটেড কন্ট্রোলিং এম.কে সিক্স আর্চেরি বন্দুক তৈরির বরাত পায় এই কোম্পানি। কিন্তু শত্রু দেশ চীনের কাছে এই অস্ত্রের হ্যাকিং করার কোড বিক্রি করে দেয় হার্শেদের মেয়ে হানসিতা কেসরিওয়ালা বা রোহনের হাসি। একসময় কানপুর আই.আই.টি থেকে বি.টেক করার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের। এরপর সিইও হয়ে ব্যবসা সামলানোর পরিকল্পনা নিয়ে বাবার অর্থে এমবিএ করতে আমেরিকা পাড়ি দেয় একমাত্র মেয়ে হানসিতা। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে স্পোকেন ইংলিশে অদক্ষ রোহন স্ট্রাগল করছিল চাকরি পেতে। তাই হানসিতা কে সে অনুরোধ করে যাতে দুজনে একত্রে গ্রাজুয়েট লেভেলের পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নিয়ে সেটল হবে। তারপরে বাড়িতে জানিয়ে বিয়ে করে সাংসারিক জীবন পালন করবে তারা। কিন্তু উচ্চাভিলাসী হাসি এই প্রস্তাবে রাজি হলো না। তার কাছে সরকারি অফিসে ফাইল ঘেঁটে নির্দিষ্ট মাস মাহিনা পাওয়ার থেকে কর্পোরেট ম্যাগাজিনের কভার পেজে নিজের ছবি দেখতে পাওয়া টাই তার লিডারশিপ প্রতিভার যথার্থ মূল্যায়ন হবে বলেই মত ছিল হাসির । তাই রোহন অগত্যা সিডিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রথমে সেনাবাহিনী তে এবং দুবছরের মধ্যে তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং অ্যানালাইসিস করার ক্ষমতার জন্য মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স বিভাগে পোস্টেড হয়। চীনের কাছে এইরূপ কোড বিক্রির খবর প্রকাশ্যে আসতে রোহন নিজেই হায়ার অথোরিটি কে রিকোয়েস্ট করে ইনভেস্টিগেশন দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নেয়। আজ আট বছর পর আবার ইনভেস্টিগেটিং অফিসার রোহন ও হাট্রিকস কোম্পানির সিইও হানসিতার মুখোমুখি হবে, কারন হয়তো সমাপতন।
Share
সুন্দর কিছু পড়লাম
খুব ভালো হয়েছে