সুখেনের সাথে প্রিয়ার বিয়েটা হয়েছিল সম্বন্ধ করেই। প্রিয়ার বাবা প্রভাস সরকার ছিল সুখেন দের গাড়ির চালক। সুখেনের বোনের জন্মদিনে প্রিয়াকে প্রথম দেখেই পছন্দ হয় সুখেনের। তার বোন সুতপার সহপাঠী ছিল প্রিয়া। আসলে কলকাতার নামী কলেজে পড়ার সৌভাগ্য প্রিয়ার হয়েছিল সুখেনের বাবার দৌলতে। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সচিবালয়ে উচ্চ পদস্থ আমলা ছিলেন একসময় সুখেনের বাবা সঞ্জয় পাল। তাঁরই ড্রাইভার ছিল প্রভাস আর তাই প্রভাসের অনুরোধে নিজের মেয়ের কলেজেই বাংলা অনার্স বিভাগে ভর্তির বন্দোবস্ত করে দেন রিটায়ার্ড এই আমলা। সেখান থেকেই সুখেন দের বাড়িতে যাতায়াত শুরু প্রিয়ার। জন্মদিনের দিন নীল রঙের চুড়িদার আর সাদা পায়জামা তে ফর্সা সুশ্রী প্রিয়াকে এক দেখাতেই পছন্দ হয় তার এবং বাড়ির অধিকাংশ সদস্যের মত না থাকলেও প্রথমে শেষমেশ নাছোড় বান্দা সুখেনের জন্য রাজী হতে হয় বিয়েতে। ধুমধাম করে বিয়ের শেষে আজ তাদের ফুলশয্যা। সুখেনের প্রথম স্পর্শে প্রিয়ার মনে হলো আদর করার থেকে অন্তর্বাস খোলার তাড়া তার বেশি। তার্ শরীরে প্রেম যেন গৌণ আর কাম যেন মুখ্য। তার এই সন্দেহ কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বাসে পরিনত হলো যখন প্রতিদিন রাতেই প্রিয়া সুখেনের লালসার শিকার হলো। এইভাবে দিন দিন সে সুখেনের ভোগ্য পণ্য হিসাবে রূপান্তরিত হলো।
বিয়ের সাত মাসের মাথায় একদিন যখন সুখেন হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি আসলো বৌদির ফোন পেয়ে দেখল সিলিং থেকে ঝুলছে প্রিয়ার নিথর দেহ আর টেবিলে রেখে যাওয়া দু লাইনের চিঠি,
“অন্তর্বাস খোলাটা যদি ভালবাসা পরিমাপের মাপকাঠি হতো,
যত অভিজ্ঞ পতিতা প্রেমের অগ্নুৎপাত উপচে পড়তো ততো।”
হৃদয় বিদারক
স্পর্শ কাতর