সবুজের সকাল শুরু হতো অন্ধকার এক ঘরে। দিনের ঝলমলে আলোতে থেকেও তার জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত যেন কালো। গলিতে দাঁড়িয়ে দাঁত মাজা হোক কিংবা তক্তপোশে বসে পড়া, সবটাই যেন ছিলো আলো ছাড়া। সকালের নাস্তায় লাল চায়ের রঙটাও যেন তাই কালো মনে হতো তার। স্কুলে যেতে আকাশ যেন মেঘাচ্ছন্ন তাই কালো ছাতার তলায় হাঁটতে হাঁটতে চারপাশের দোকান,গাড়ি, মানুষ সবকিছু মনে হতো অন্ধকার রাজপথের নির্মীয়মান স্তম্ভ। স্কুলে পৌঁছে কোনের শেষ বেঞ্চিতে যখন গিয়ে বসত পিতৃ পরিচয়হীন মনে বাঁধত কালো কুয়াশার ছায়া।
কিন্তু অন্ধকার পার করে যেমন আলো এসে পৌঁছায় ঠিক সবুজের জীবনে আলো এসে পৌঁছত দিবসের দ্বিতীয় অর্ধে যখন আলো ঝলমলে পাড়ার মধ্যে দিয়ে টিউশনির শেষে সন্ধ্যা নামার আগে বাড়ি ফিরত সবুজ। আলোর রোশনাই, ভিজে গান, চারদিকে চামেলী থেকে শুরু করে ঝুম্পা মাসিরা দাঁড়িয়ে আছে খরিদ্দারের অপেক্ষায়। যখন তাদের ভাড়া বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করত প্রতিটা খুপড়ি তে জ্বলে উঠত রঙিন আলো। সকালের সেই অন্ধকার মৃত্যুপুরী যেন হাজার প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে আর ঘরে রূপকথার পরীর মত অপরূপ সুন্দরী মায়ের মুখে দেখতে পেত সবুজ জীবনের অন্ধকার পার করে আলো।
অন্য ধরনের একটু কিন্তু মন ছুঁয়ে গেলো
জীবনের সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দিক তুলে ধরেছেন