আনন্দ পলিটিক্যাল সায়েন্সে এম.এ কমপ্লিট করার পর ইউ.পি.এস.সি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নিলো। বাড়িতে সেই কথা শুনে বাবা হরিপদ দাস ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। কলকাতার একটি বেসরকারি ফার্মের হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন ভদ্রলোক। নিম্ন বিত্ত পরিবারের ছেলের এহেন স্বপ্ন তাঁকে বড় বিচলিত করে তুললো। ছেলেকে কম্পিউটারে ইউ.পি.এস.সি টপার দের পার্সোনালিটি টেস্ট ও মোটিভেশনাল স্পিচ শুনতে দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলেন না। অবিলম্বে ছেলেকে জানিয়ে দিলেন দিল্লিতে ভালো কোচিং সেন্টারে ভর্তির ব্যবস্থা কাল তিনি করে ফেলবেন। সেইমত পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে আনন্দ বাবা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
কিন্তু টানা তিনবার প্রিলিমিনারির পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে সে ফোনে জানালো যে কোনভাবেই মোটিভেশন পাচ্ছে না তাই ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে। শুনে মা আত্রেয়ী দেবী তাকে বাড়ি ফিরে আসার অনুরোধ করলেন এবং দিব্যি দিলেন যে বাড়ি ফেরা না অবধি যেন কোনরকম নেগেটিভ চিন্তা মাথায় না আনে।
দিল্লি থেকে ফিরে দেখল আনন্দ তাদের পৈত্রিক ভিটার একাংশ জ্যাঠা মশাই কিনে ফেলেছেন আর তার মায়ের হাত গহনা শূন্য। দুবছর পর আজ আবার দিল্লি যাচ্ছে আনন্দ পার্সোনালিটি টেস্টে ডাক পেয়ে, সাথে সম্বল হারানো ভিটার দলিলের জেরক্স আর মায়ের গহনা বিহীন হাতের স্পর্শ যা আজ তার মোটিভেশন।
দারুন
ধন্যবাদ দিদি
Choke jol chole elo
ধন্যবাদ এতো গভীরে গিয়ে অনুভূতি টা কে বোঝার জন্য
মন ছুঁয়ে গেল ❤️🙏
ধন্যবাদ
অসাধারণ একটি অনুগল্প পড়লাম
ধন্যবাদ আপনাকে
অনুমান করা যাচ্ছে যে আনন্দের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ব্যর্থতা তার মনে অনেক দুঃখ এবং নিরাশার কারণে তার মোটিভেশনে প্রত্যাবর্তন হয়েছে।
একদম ঠিক তাই