আনোয়ারা গাজী আর সুমিত্রা ঘোষাল পাশাপাশি কোয়ার্টারে থাকলেও কোনোদিন তরকারি বা খাওয়ার আদান প্রদান হয়নি। দুজনে কট্টর মনোভাবাপন্ন হওয়ায় একে অপরকে এড়িয়ে চলত। ছোঁয়া ছুঁইয়ের ভয়ে ঈদের সময়ে সুমিত্রা নিজের দেশে আর পূজোতে আনোয়ারা নিজের দেশে চলে যেত। তাদের ছেলেমেয়েদের ও বিশেষ মেলামেশা ছিল না। পরে দুজনের স্বামীর অন্যত্র পোস্টিং হলে তারা আর কোনদিন মুখোমুখি হয়নি।
ত্রিশ বছর পর আজ সুমিত্রার শেষ অবস্থায় পাশে আনোয়ারা। পাঁচ বছর আগে তাদের সাক্ষাৎ হয় অঙ্কলতা বৃদ্ধাশ্রমে। একাকীত্ব দুই বৃদ্ধাকে একে অপরের কাছে টেনে আনে। বেশ চলছিল কিন্তু সুমিত্রার ক্যান্সার তাকে জীবনের শেষ সময়ে বেশিদিন আনোয়ারার সান্নিধ্য লাভের উপযোগিতা করে দেয় নি। সুমিত্রার পাশে বসে আনোয়ার যখন পুরানো কথার স্মৃতি চারণ করছিল তখন সুমিত্রা আনোয়ারার হাতে হাত রেখে তাকে কাছে ডাকলো। আনোয়ারা কাছে আসতে সুমিত্রা তাকে ভারী জড়ানো গলায় বললো আজ আমাকে একটা পদ রেঁধে খাওয়াবে দিদি। পদ শুনে খানিকটা ইতস্ততঃ হয়ে আনোয়ার ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করলো কি দিদিভাই। উত্তরে মৃদু হাসার চেষ্টা করে সুমিত্রা উত্তর দিলো সিমাই।
সামাজিক
ধন্যবাদ
দুঃখজনক
হুম