চোখের জল বড়ো অসহায়।
কেউ বোঝে না,বোঝার মতো কেউ নেই আসলে।
দূরের ওই মেঘ হঠাৎ করে গর্জে ওঠে–,
তৎক্ষনাৎ অন্তর ওঠে কেঁপে।
পুরোনো স্মৃতিগুলো ঘুরে বেড়ায় মনের কাননে।
মনে পড়ে যায় তারে বার-বার,
এই অন্ধকার বিকালে–,কারণে-অকারণে।
রাস্তায় জমে থাকা কর্দমাক্ত জলে কেউ ভাসায় কাগজের নৌকা।
জানালার আড়াল থেকে নৌকা দেখে মন আনন্দে ছট-পট করে ওঠে–,
অতঃপর সংশয় হয় মনে,আবার কেউ দিচ্ছে না তো মোরে ধোকা!!
এই বৃষ্টি ভরা অন্ধকার বিকেলে নৌকা ভেসে-ভেসে আমার দিকেই এগিয়ে আসে।
স্মৃতিগুলো যেন চোখের জল হয়ে মিশে যায় মাঠে ভরা সবুজ ঘাসে।
সমস্ত সংশয় ঠেলে মনে মনে বলি,
কাগজের নৌকায় আমার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে সে,
সে মনে হয় আবারও এসেছে ফিরে।
বুকভরা আশা নিয়ে ছুটে গিয়ে দেখি বাহির হয়ে,
কাগজের সেই নৌকা নিয়ে বৃষ্টিতে নেচে নেচে চলে যায় ৫-৬ বছরের এক মায়াবী মেয়ে।
আবারও মনটা যায় থমকে।
মনে মনে ভাবি,এটা সেই নৌকা নয়।
বছর পনেরো আগে যে নৌকা আমারে দিয়েছিল ভয়।
বয়স তখন আমার ছিল নয়।
নৌকায় চিঠি পাঠিয়ে সে আমার মন করেছিল জয়।
চিঠিতে লেখা ছিল,”তোমাকে অনেক ভালবাসি।
তুমি আমার মিষ্টি হৃদয়।
আমি হব মাঝি,শুধু তোমারই অধিকার আমার মনের নৌকায়।”
তার মনটা সত্যিই যেন এক নৌকা।
নদীর মতোই সে আঁকা-বাঁকা।
এই মনেতে আজও তার নাম লেখা।
তার সেই চিঠি আজও আছে আমার কাছে,
শুধু ছিঁড়ে গেছে কাগজের নৌকা।
আমাকে কষ্ট দিয়ে চলেছে সে হাজারো পথ একা একা!
Asadharon ekti kobita porlam
খুব ভালো লেখা