কালো কোট, ন্যায়ের মূর্তি;
এজলাস বানায় কাঠে।
বিচারক হাই তোলে,
স্লথের গতি হাঁটে।
বাইরে মুহুরি, মধ্যে ক্লার্ক;
জল পান একত্র ঘাটে।
বাদী বিবাদী দু পক্ষে,
উকিল গেলো মাঠে।
পেশ করা হলে আসামি,
পুলিশের বন্দুক কাঁধে;
চোর কয় ও করেছে,
মিছিমিছি যে বাঁধে।
জজ শুধিল, কিস দোষে?
পাকড়াও হলো দুজনে।
বাদী পক্ষের উকিলে,
দোষ দেয় কুজনে!
বিবাদী কয়, ধর্মবতারের
দৃষ্টিরে আকর্ষিত করি;
জমিদারের খাস সে,
কাউকে নাহি ডরি!
বেয়ারা, চিল্লে সবে ডাকে
সমন যাদের পৌঁছেছে;
স্বাক্ষী কয় গ্ৰন্থ ছুঁয়ে,
তখন শৌচে গেছে!
কোর্ট ঘর হেসে বেসামাল,
রব ওঠে অর্ডার অর্ডার!
কেস টা কি বল খুলে,
চুরির নাকি মার্ডার?
দু পক্ষের বসচা বিবাদের,
তুলে ধরলো ক্ষতিয়ান।
হাতে অস্ত্র ছিল তাই,
যাইনি কারো প্রান!
বিচারক শুধাল, অস্ত্র ছিল!
করছিলে গো তবে কি?
একসাথে সমস্বরেই,
বলিলে শস্য চুরি!
স্বাক্ষী শেষে চুপ না থাকল,
বললো দুজনেই মাতাল।
ভাগ বাঁটোয়ারা তখন,
ছুটে এলো দাঁতাল!
বেশ মজার ছন্দ, সুকুমার রায় কে মনে পড়ে গেল
ধন্যবাদ আপনাকে