হ্যাঁ শুনছ, আজ আমার জন্মদিন।
মায়ের প্রসবে ব্যথা ,উঠেছিলো কঠিন!
রাতে বেলা হল ,অপারেশন জটিল!
ওষুধ পত্র কিনেই ,এলো অনেক বিল।
বাঁচার আশা ,ডাক্তার বলেছে ক্ষীণ!
হাসপাতালেই বসে,বাপের মুখ মলিন!
ওয়ার্ডে শুয়েই,আমি হাসি খিলখিল;
সবাই বললো মুখে,মামার সাথে মিল।
তিনদিন পর, ফিরলাম নিজ বাড়ি,
কোলে কোলে বুঝি, কিসে টানে নাড়ি!
কচি মুখটা ভরে ছিল, গালে হাসি!
খবর আসতেই এলো দল নিয়ে মাসি।
কাঁদালে,ঠাম্মার রাগ হতো আগুন।
ভাত মুখে নিলাম ,মাসে তখন ফাগূন।
গড়াগড়ি দিতাম,মাদুর তেল মেখে।
পিসি তরিতে ঝাল, হলো কিনা চাখে।
ছোট দাঁতের মাঝে, ফুটল যে বুলি;
প্রিয় তখন ,হতো মনের খেলনা গুলি।
বারান্দায়, দিতাম ভরে হামাগুড়ি।
মা দেখাতে রাতে ,চাঁদের চরকা বুড়ি।
বাড়ির সব চিন্তায়,গা পুড়লে জ্বরে।
হাঁটা শুরু করলাম, কাকার হাত ধরে।
এবার এলো, স্লেটে খড়ির পালা।
ইঞ্জেকশন দিলেই ,কান্না সেকি ঠ্যালা!
দাদুর ধরে,স্কুলে প্রথমে গেলাম;
বন্ধু কথার অর্থ,সেথায় গিয়ে পেলাম!
সাইন্স নিয়ে পড়তে আচ্ছা ফাঁসে;
বিটেকে বিদ্যা দেখে, বিশ্বকর্মা হাসে!
পরে বুঝে কাজ চাকরি সরকারি!
ক্যান্টিনে বসে খাব ডিম,মাংস কারী!
এই করে পড়লাম আজ আঠাশ,
চারদিকে বইছে এখন বিয়ের বাতাস।
জন্মদিন
Share