শিয়ালদহ স্টেশন থেকে অরিত্র কে পিক আপের দায়িত্ব ছিল তরুন সদস্য দলে সদ্য যোগ দেওয়া বুলাশর ওরফে বুলার। কথাটা লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার রাজীব গুহ অবধি পৌঁছতে বেশি দেরি হলো না। লালবাজারের হাতে খোঁচড়ের অভাব সেই ইংরেজ জমানা থেকে ছিল না। তাই দলবল নিয়ে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের অপেক্ষায় সিভিল পোশাকে উপস্থিত গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর সমরজিৎ সেন। সত্তরের দশকে উওরবঙ্গ থেকে আসার সহজতম পথ এটাই। কিন্তু ট্রেন এসে থামলেও অরিত্র মজুমদারের দেখা মিলল না। খবর এলো শান্তিনিকেতনে প্রফেসর সুভদ্র অধিকারির বাড়িতে গুপ্ত মিটিং আয়োজন করা হয়েছে।টিপ পেয়ে লালবাজারের দল ততক্ষণে বেরিয়ে পড়ল শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্যে। রাত গভীর হলো ঠিক এগারোটায় দরজায় কড়া নেড়ে সমরজিৎ বাবু বললেন লালবাজার থেকে আসছি। দরজা খোলা মাত্রই পুলিশ ঢুকে গেল ঘরে, জিজ্ঞেস করলো বাড়িতে কে কে আছে? উত্তরে সুভদ্র বাবু বললেন আমি, স্ত্রী আর কাল এসেছে আমার মেয়ে জামাই। ওরা ওই ঘরে ঘুমাচ্ছে শুনে আলতো করে পর্দা সরিয়ে মেয়ে জামাই খাটে পরস্পর কে আলিঙ্গন করে শুয়ে আছে দেখে দল নিয়ে বের হয়ে এলেন সমর বাবু। গভীর রাতে ঐ ঘরেই অরিত্র কে নিয়ে শুরু হলো পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে মিটিং।
খুব ই সুন্দর স্বয়ং সম্পূর্ণ গল্প।
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভাবার্থ টা কে বোঝার জন্য
অসম্ভব সুন্দর একটি কাহিনী
ধন্যবাদ