অঙ্কন দের অফিসে ঢোকার সময় সকাল সোয়া দশটা আর বেরনো বিকাল সাড়ে পাঁচটা। সল্ট লেকের সেক্টর থ্রি তে একটি সরকারি দপ্তরের সচিবালয়ে কেরানী পড়ে পোস্টিং তার। কিন্তু মেট্রো হবার আগে এই সময় ছিল বেলা এগারোটা থেকে বিকাল পাঁচটা। সেই সাথে বায়োমেট্রিক না থাকার কারণে অঙ্কন ও বাকি কর্মচারীরা বেলায় দেরিতে ঢুকতো আর ছুটির অনেক আগেই ট্রেন ধরার অজুহাত দেখিয়ে বেরিয়ে যেত। প্রথম দিকে অঙ্কন মূল সময়ের থেকে দশ পনেরো মিনিটের তফাতে যাতায়াত করলেও আস্তে আস্তে সেটা এক ঘণ্টার তফাতে দাঁড়ালো। অর্থাৎ এক ঘন্টা দেরিতে যেমন ঢুকতো তেমন বেরতো ও প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট আগে। কখনো সখনো বড় বাবু এই বিষয়ে আলোকপাত করলে অঙ্কন অটো না পাওয়ার কারনে ট্রেন মিস করার একটি গল্পঃ ফেঁদে কুমিরের কান্না জুড়ে দিত।
আজ হঠাৎ করে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ অবধি মেট্রো রেল চালু করার ফলে যাতায়াতের সময়ে কড়াকড়ি আনলো তাদের দপ্তর। ফলে গেট দিয়ে বেরনোর বোকা আর বেরনোর সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ফেস রিকগনিশন বসানো হল। এমতবস্থায় আজ অটো তে বিধাননগর যাওয়ার সময় অটোতে দুই সিনিয়র স্টাফের আলোচনায় শুনতে পেল যে এই অফিসে আ্যটেনডেনসের এই নিয়ম কি আদৌ খাটবে? উত্তরে আরেক স্টাফ বললেন কে বলেছে মানতে, সরকারি অফিসে কাজ শুরু হয় বারোটায়। ভাড়া মিটিয়ে যখন অঙ্কন এগোচ্ছে তখন পিছন থেকে ফিসফিসানি শোনা গেল যে ঐ তো সামনের ওই নতুন ছেলেটাই অফিসে ঢোকে সাড়ে এগারোটায়।