ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দীপের শরীরে দেখা দেয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ থেকে। প্রথমে গুরূত্ব আরোপ না করলেও পরের দিকে হাঁটা চলা থেকে বাকি সব দৈনন্দিন কাজে তাকে ব্যথার সাথে লড়াই করে অতিক্রম করতে হতো। বিভিন্ন ডাক্তার বদ্যি করেও সারেনি তার এই রোগ। উল্টো না জেনে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ বাজার থেকে কিনে খেয়ে শরীর ফুলে গেলে। ফলস্বরূপ ওজনের বৃদ্ধি ও সেইসাথে বন্ধু মহলে তার খাদ্যভ্যাস আর চলাফেরা নিয়ে সমালোচনা ও মস্করা। এইসব কথাই নিজের ল্যাবে বসে নাতির মুখে মুড়ি নারকেল খেতে খেতে শুনছিলেন বায়োকেমিস্ট বীরেন শাস্ত্রী। সামনে একবছর পরে ক্যাম্পাসিং অথচ এরকম পরিস্থিতিতে পার্সোনালিটি টাই তো বোর্ডের সামনে তুলে ধরতে পারবে না দীপ। চিন্তিত হলেন দাদু, ফোন করলেন তাঁর অন্যতম সফল ছাত্র প্রবীর রায় কে। প্রবীর টেক্সাসের একটি রোবটিক্স কোম্পানির ইন্জিনিয়ার এবং ন্যানোবট নিয়ে তার একটি প্রোজেক্ট চলছে যেখানে ন্যানোবটের মাধ্যমে ইউরিনের রেচন পদার্থ গুলো এমন এক ব্রিকিয়ায় ফেলবে যাতে ক্ষতিকারক উপাদান গুলো ভেঙে যায় চেন থেকে। কিন্তু কোন রোগের উপর প্রয়োগ টা করবে সেটা নিয়েই চিন্তিত ছিল সে কারন ক্যান্সারের মত মারন রোগ না ভেবে আপাতত ছোট কোন রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা করাটাই শ্রেয় তার মনে হলো। ইউরিক অ্যাসিড কে রাসায়নিক চেন থেকে ভেঙে আনা যায় এটা জানত প্রবীর। সেই মত প্রিয় শিক্ষকের আশীর্বাদ নিয়ে এমন একটা ন্যানোবট তৈরির চেষ্টায় লাগলো যা ইউরিক অ্যাসিড নিরাময়ের সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় কিছু এলিমেন্ট উৎপাদনে সাহায্য করবে , কারন সে জানত ইউরিক অ্যাসিড রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বিয়োজন ঘটলে কার্বন বা নাইট্রোজেনের মত যৌগ উৎপন্ন করে। আর এই বিয়োজনের জন্য এমন একটি কোডিং প্রস্তুত করা যার ফলে বিয়োজনের সাথে সাথে নতুন যৌগ উৎপন্ন হয়।
পরিকল্পনা মত নিজের টিম কে নিয়ে প্রথমেই একটি বায়োমেডিক্যাল সেন্সর তৈরি করল যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল গুলোকে শনাক্ত করে তাকে ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স সার্কিটের মাধ্যমে ন্যানোবটের অটোমেটেড কন্ট্রোলিং ও কনভার্ট ইউনিটে পাঠানো। সেইজন্য ফোনে কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং পড়ুয়া দীপের কাছে প্রয়োজনীয় কোডিং প্রস্তুত করার দায়িত্ব দিলেন প্রবীর রায়।
সুন্দর হাস্য কৌতুকে ভরা একটি কল্প বিজ্ঞানের ঘটনা
ধন্যবাদ গল্পের মাহাত্ম্য টা কে বোঝার জন্য