কলেজ থেকে সাইকোলজি অনার্স নিয়ে পাশের পর কম্পিটিটিভ লাইনে চলে আসে মনীষা। কলা বিভাগের ছাত্রী মনীষার অত্যন্ত ইচ্ছা ছিল মানুষের মন পড়ার। সেইমত উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যমে আরও পরীক্ষা লব্ধ জ্ঞান সে কিভাবে অর্জন করবে তার পরিকল্পনা সে করতে লাগলো আর এখানে তার প্রিয় বিষয় ছিল পজিটিভিটি।কারন মেয়ে হয়ে সমাজে জন্মানোর সুফল হিসাবে নানারকম নেগেটিভ কথাবার্তা আর পরিস্থিতির সম্মুখীন সে হয়েছে।সাথে সাথেই দাদার দেখাদেখি কম্পিটিটিভ চাকরির প্রস্তুতি সে নিতে লাগলো। এরকম প্রস্তুতি চলাকালীন তার প্রথম পরীক্ষা ছিল পিএসসি ক্লার্কশিপ। প্রিলিমিনারি টা মোটামুটি উতরে গেলেও মেনস সে ভালোই দেয়। আশা ছিল পাশ করবে কিন্তু বাঁধ সাধল অ্যাডমিট খোয়া গিয়ে। অতঃপর রেজাল্টের লিস্ট থেকে রোল নাম্বার খুঁজে পাওয়াটা অলীক সাধ্য হয়ে পড়লো। কিন্তু সাইকোলজির ছাত্রী মনীষা সহজে দমল না, সে পিএসসি অফিসে গেল ব্যাপারটা সুরাহা করবার জন্য কিন্তু তারা সাফ জানিয়ে দিল অ্যাডমিট পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। তথাপি টাইপিং টেস্টের আগেই চাকরির আশা পরিত্যাগের পরিস্থিতি এলো। কিন্তু থিয়োরি অফ পজিটিভিটি তার মধ্যে একটু হলেও বেঁচে ছিল। তাই নাম ও রোল নম্বর সমেত পাশ করা পরীক্ষার্থী তালিকা পুনরায় প্রকাশ। আজ মনীষা শিক্ষা দপ্তরে বসেই নামি সাইকোলজির প্রফেসরদের ফাইল রেডি করে।