সুষমা ঋত্বিক দের বাড়িতে এলো বছরেই কাজে ঢুকেছে। বাড়ি বলা ভুল আসলে এটা ঋত্বিকের বাবা চন্দন সিনহার ফ্ল্যাট। কর্মসংস্থানের জন্য বর্ধমানের বাসিন্দা চন্দন বাবু, তাঁর স্ত্রী রীতা দেবী ও পুত্র ঋত্বিক যাদবপুরে একটি বহুতলে ফ্ল্যাট টি কিনেছেন। সল্ট লেকের একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে কর্মরত তার পাপা। যাদবপুর থেকে সহজেই বাসের মাধ্যমে অফিসে পৌঁছে যান চন্দন বাবু। স্ত্রী রীতা একজন নিপুণা গৃহিণী। রান্নাঘর সে খুব ভালো সামলায়। ছেলেকে নামী এক আইসিএসসি বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলে ভর্তি করেছে চন্দন সিনহা। তাকে রোজ মুখরোচক টিফিন বানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যেমন মা রীতা দেবীর তেমনি গাড়ি অবধি ছেড়ে আসার দায়িত্ব সুষমার। প্রথম দিকে একবেলা করলেও পরে বিশ্বস্ত মনে হতে তাকে দুইবেলা রাখার ব্যবস্থা হলো। ফলে বিকালে ছোট ঋত্বিকের সাথে মাঠে গিয়ে তার খেলার সময়ে বসে থাকা এবং খেলার শেষে জেদী ঋত্বিক কে বাড়ি টেনে আনার দ্বায়িত্ব সুচমা মাচির ঘাড়েই পড়ল। এইভাবে ছুটির দিন গুলোতে ঋত্বিক আর তার মাসী আরো কাছাকাছি এলো। ফলে চন্দন বাবু নির্বিঘ্নে নিজের ল্যাপটপ নিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ব্যস্ত থাকতে পারেন। সুষমা যেভাবে ঋত্বিকের দায়িত্ব নিয়েছে তা দেখে চন্দন সিনহা পুজোয় দুই হাজার টাকা আর একটা শাড়ি উপহার দিলেন। সুষমা চারটে পাঁচশ টাকার নোট থেকে একটা নোট বের করে রীতা দেবীর হাতে দিয়ে বললো এটা দিয়ে ঋত্বু বাবুকে একটা গেঞ্জি আর বন্দুক কিনে দেবেন বৌ দি মনি।