ছেলেবেলা থেকেই মনিরুল ধর্ম নিরপেক্ষ। নিজের ধর্ম যেমন সে পালন করে একনিষ্ঠ ভাবে তেমন অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করা এবং সেই সকল ধর্মের অনুষ্ঠানে নিজেকে নথিভুক্ত করার অভ্যাস সেই ছোট থেকেই। একদিকে আব্বার কোলে ঘুরে ঘুরে যেমন প্রতিমা দর্শন করেছে তেমন বড়দিনের কেক ভক্তি ভরে খেয়েছে সে।
কৈশোর অবস্থায় তার প্রধান আডডার জায়গা ছিল গ্রামের নাটমন্দির। আদি গঙ্গার পাশে স্বর্গতীর্থ মন্দিরের প্রাঙ্গণে খেলেই তার বেড়ে ওঠা। দাদু আবেদ আলী খেলা ধূলার প্রতি সর্বদা গুরুত্ব আরোপ করতেন। তিনি স্বামীজির গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভালো এই ধারনা কে মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন। ফলে মনিরুলের পিতা রহমান সাহেব ও একসময় ভালো ফুটবল খেলতেন এবং তিনিও নিজের পিতার মত পুত্রের খেলাধুলায় বাধা হয়ে দাঁড়ান নি।
আজ মনিরুল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এস.আই। চাকরির প্রথম মাহিনা হাতে পেয়ে মিষ্টি ও কিছু ফলমূল এনে মন্দিরের পুরোহিত মহাশয়ের হাতে দিয়ে করজোড়ে অনুরোধ করলো আজকের পুজোটা যেন এই মিষ্টি আর ফলমূলের সহযোগে হয়। পুরানো সেই নাটমন্দিরে গরমে হাওয়ায় বসে যখন ঘাম জুড়াচ্ছিল মনি পিছন থেকে পুরোহিত মশায় বললেন মনিরুল এই নে প্রসাদ।
Hridoy k sporso kore gelo khub sundor ekti ghotona
ধন্যবাদ গল্পের গভীরতায় পৌঁছানোর জন্য
সহিষ্ণুতা দীর্ঘায়ু হোক ♥️
অবশ্যই বাঙালির সম্পত এটা