মজুমদার দের পরিবার নোয়াখালীর চাঁদপুরের অন্যতম স্বচ্ছল পরিবার ছিল। পাকা বাড়ি, দালান, বড় উঠোন, সেই উঠোনে গোলা ভর্তি ধান, পুকুরের মাছ। মূলতঃ চাষবাসের সাথে জড়িত তাদের পরিবার। একান্নবর্তী পরিবারের গিন্নি মা সাধনা মজুমদারের তত্বাবধানে চড়ুইভাতি থেকে পিঠে পুলি উৎসবে যোগ দিতে আসত হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সকলে। বাড়ির ছেলে মেয়েদের বিয়েতে হৈ হৈ করে সবাই অংশগ্রহণ করতো।
কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না রয়টের সময়ে। একসময়ের জমিদারী তে যে অত্যাচারের ফলা গেঁথে দিয়েছিল মজুমদার দের পূর্ব পুরুষরা তার খেসারত দিতে হয়েছিল বর্তমান প্রজন্ম কে। বাড়ীতে আগুন লাগানো থেকে শুরু করে লুঠ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হলো বাড়ির নারী পুরুষ সকলেই। তুলসী তলার পিদিমের বাতি নিভিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল মন্দির। রাজনীতির রোষানলে পড়ে ধর্মের সুড়সুড়ি এমন জেগে উঠলো যে রক্ত চক্ষু মেলে হিন্দু বোনদের ভিটা ছাড়া করলো মুসলমান ভাইরা।
আজ সিলেট থেকে আগত জামাতের দলের একটি ছেলে বিকেলে বের হয়েছিল ইতিহাসে পড়া নোয়াখালী রয়টের সাক্ষ্য হতে। মজুমদার দের পোড়া বাড়ির উঠোন দিয়ে এগিয়ে এসে ভেঙে পড়া মন্দিরের আড়াআড়ি ভাবে ওঁম লেখাটা দেখে আল্লাহর নাম নিয়ে জিয়ারত শুরু করলো।