অমিতের সাথে পায়েলের পরিচয় ঘটে পায়েল দের স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। যেখানে প্রধান অতিথি বিডিও অমিত নস্কর কে বরন করে নেয় স্কুলের সহ শিক্ষিকা পায়েল অধিকারী। ক্যান্সার আক্রান্ত বাবা যখন কাপড়ের দোকানে কাজ ছেড়ে বিছানায় ঠাঁই নিয়ে শয্যাশায়ী তখন বি.এড করা এবং শিক্ষা বিজ্ঞানে গোল্ড মেডেলিস্ট পায়েল আবাসিক এই স্কুল জয়েন করে। বাড়িতে ওদিকে রয়ে গেল মা আর বোন দোয়েল। কিন্তু বেশিদিন সংগ্ৰাম করতে পারলেন না বাবা পরিতোষ অধিকারী। দুটো আইবুড়ো মেয়ে আর স্ত্রী কে ফেলে ইহলোক ত্যাগ করলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে মিষ্টি দেখতে পায়েলের দিকে বারবার চোখ চলে যাচ্ছিল তার সমবয়সী বিডিও সাহেবের। বাড়ি ফিরে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলেন না, ফেসবুক খুলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে একসেপ্ট করলো পায়েল। প্রথমেই সরল সোজা ছেলে অমিত জিজ্ঞেস করে বসলো তার এইরকম মনমরা হয়ে অতিথি আপ্যায়ন করার কারন। উত্তরে পায়েল তার বাবার ঘটনা বললো যে কিভাবে তার সবচেয়ে কাছের মানুষের জন্য পিজি থেকে রায় অন্ড ত্রিবেদী ছুটেও শেষ রক্ষা হয়নি। বলতে বলতে পায়েল একরকম কেঁদে ফেলেছে বুঝলো অমিত। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও অমিতের অজানা তবু যতটা সম্ভব তাকে বোঝানোর চেষ্টা সে করলো এই বলে যে বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব এখন তার কাঁধে। পায়েল ঠিক এরকম একজন সাপোর্ট খুঁজছিল আর অমিতঞ খুঁজছিল পায়েলের মতোই রেসপনসিবেল একজন সঙ্গী। ফলে কথা যত এগোতে লাগলো তত দুজনে দুজনকে জানলো, বুঝলো আর স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। কিন্তু দুজনের মনে ভয় ছিল। পায়েল মনে করতো একমাত্র সন্তান অমিত যেহেতু তার বাবা মা কি তাকে বাড়ির বৌ হিসাবে মানবে কারন পায়েলরা অমিতদের সামনে কিছু না। তার ওপর তার মাথায় গার্জেন নেই আছে বলতে শুধু তার মা। সেকথা জানাতে অমিত বললো এই নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই পনের তারা একদম বিরুদ্ধে আর অমিত তো নিজেই বিডিও হবার পর পণের নেওয়ার জন্য অনেক পরিবারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। শুনে পায়েলের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। হঠাৎ মেসেজ করলো অমিত যে পায়েল আমার একটা সমস্যা আছে। একটু দুষ্টুমি করে পায়েল জিজ্ঞেস করলো কি বাবু ? উত্তরে অমিত লিখলো ইরেকটাইল ডিসফাংশন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দেখলো মেসেঞ্জারে লেখা ‘You can’t reply to this conversation’.