গ্রামের হাই স্কুলের ফার্স্ট বয় সুমিত গত বছরেই মাধ্যমিক দিল।যেমন পড়াশোনায় মেধাবী ও মনোযোগী তেমনি নম্র তার ব্যবহার স্কুলে। শিক্ষকদের প্রতি তার শ্রদ্ধা আর সহপাঠী দের প্রতি ভালবাসার কথা সারা স্কুলের জানা। কবিতা থেকে নাটক, খেলাধূলা থেকে প্রদর্শনী সমস্ত ক্ষেত্রে তার পার্টিসিপেট করা এবং পুরস্কার জেতা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। স্কুলের তরফে জেলা স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সে গর্বের সাথে পুরস্কার পেয়ে নাম উজ্জ্বল করে এসেছে। নীচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সামনে সুমিত কে উদাহরন হিসেবে পেশ করেন সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা। মাধ্যমিকে সে একই ভাবে হতাশ করলো না এবং জেলায় চতুর্থ স্থান লাভ করল আর সারা স্কুল তার গুনগান গাইতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
এর মধ্যেই একটা বিষাদের সুর শোনা গেল যে বর্তমান স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের অনুপস্থিতির কারণে স্কুল পরিত্যাগ করে অন্য নতুন এক স্কুলে ভর্তি হবে। চিন্তা মত ফলেও গেল। সব কিছু পিছনে ফেলে জীবনের দ্বিতীয় স্কুলে পদার্পণ করল সুমিত। আজ তার একাদশের টেস্ট পরীক্ষা। হঠাৎ রসায়ন পরীক্ষার দিন সে প্রথম অর্ধের ঘন্টা বাজার সাথে টয়লেটে যাওয়ার অনুমতি চাইলে নতুন স্কুলের গার্ড দিদিমনি দুজন হেসে তাকে যেতে বললো। ফিরে দরজা দিয়ে ঢোকার সময় একজন দিদিমনি বললো আর একটু সময় পেলে ভালো হতো বাথরুমে কি সবটা এই অল্প সময়ে বার করা গেল। বেঞ্চি তে বসে মাথা নিচু করে হাসতে হাসতে সুমিত নিজেকে বললো এটা তোর দ্বিতীয় গুরু কুল না, এটা হলো পর কুল।
Prothom school r smriti tuku tulonahin
একদম
একদম
একদম
স্কুলের আবেগ আজ আবার ধরা দিলো ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর উপস্থাপনার জন্য
স্বাগত জানাই আপনাকে