একদা রাকেশ নামের এক ছাত্র ছিল কোন এক বিদ্যালয়ে। সেইখানে প্রশান্ত হালদার নামক এক জনৈক দর্শনের শিক্ষক ছিলেন। একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের তিনি দর্শন পড়ালেও মূলত নীচু ক্লাসের জন্য তিনি ছিলেন বাংলার শিক্ষক। কিন্তু দর্শন যেহেতু তার বিষয় তাই বাংলা কবিতা বা গল্পের সারমর্ম ব্যাখ্যা করতে তিনি দর্শনের সাহায্য নিতেন। দর্শন কে রূপক হিসাবে ব্যবহার করে তিনি নিপুণ ভাবে সাহিত্য রস সকলের সামনে তুলে ধরতেন। কিন্তু পিছনের সারির শিষ্যগণ তাঁর এই দর্শন সাহিত্য কিছুই বুঝতে পারতো না। তাদের কিছুতেই বোধগম্য হতো না যে দর্শনের সাথে সাহিত্য কোথায় জড়িয়ে। তাই পিছনের সারিতে তে বসা রাকেশ স্যার যখন বোঝাতেন শুধু মাঝে মধ্যে ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার করতো। একদিন স্যার তার এই ফন্দি বুঝতে পারল। তিনি পড়াতে পড়াতে এগিয়ে গিয়ে রাকেশ কে দেখলেন খোশ গল্পে মশগুল মাথা নিচু করে। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন অর্ধেক গ্লাস জল দেখতে পেলে তুমি কি ভাববে রাকেশ। রাকেশ বসেই সহাস্যে উত্তর দিলো গ্লাস অর্ধেক খালি। তিনি একই প্রশ্ন মেধাবী এক ছাত্রী কে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করতে সে বললো গ্লাস অর্ধেক ভর্তি। স্যার তখন রাকেশ কে বললেন যে আমার ক্লাসে দর্শন টা ঠিক মত না শুনলে জীবন টাকে ও গ্লাসের মত অর্ধেক খালি মনে হবে।
খুব সুন্দর দার্শনিক চিন্তাধারা
ধন্যবাদ