বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সামর্থ্য অমরের কোনোদিন ছিল না। তবু লোন আর টিউশনির সহযোগিতায় এবং স্কলারশিপে বুকে এক রাশ আশা ও ভরা সাহস নিয়ে ভর্তি হলো সে। কিন্তু গ্যারেনটার না পাওয়ার কারনে যথাসময়ে লোনের ব্যবস্থা হলো না।
ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেও কোনো লাভ হলো না, বরং কিছুটা লাঞ্ছিত হয়ে সে আর তার পিতা প্রিন্সিপালের ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে দেখল কলেজের মধ্যে নীল বাতির দুটো গাড়ি প্রবেশ করছে।
বাড়ি ফিরে নিজের মনকে শক্ত করে দ্বিতীয় সেমিস্টারের শেষ হবার আগেই বকেয়া সেমিস্টারের ফি না দিতে পারায় কলেজের স্মৃতি আর ইন্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন ত্যাগ করে প্লেন গ্ৰ্যাজুয়েশান কমপ্লিট করার উদ্দেশ্যে এক বছর নষ্ট করে নতুন ভাবে সরকারি কলেজে ভর্তি হলো সে। সাথে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি আর টিউশনি পড়িয়ে কলেজের বকেয়া ফি শোধের চেষ্টা।
আজ তিনবছর পর আবার সে পুরাতন কলেজে প্রবেশ করছে। তাদের ব্যাচের ক্যাম্পাসিং চলছে। ভুলে যাওয়া বড়লোক বন্ধুরা দেখল তাদের এক্স ব্যাচমেট অমরদীপ বাগচী কে তাদের মত ফরমাল পরে নীল বাতির গাড়ি থেকে নামতে যার উপর লেখা ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট, গভর্মেন্ট অফ ইন্ডিয়া।
ইন্সপায়ারিং
ধন্যবাদ