সরস্বতী পুজোর সময়ে ঠাকুর মশাইদের পিছনে পুজো কর্তারা পিঁপড়ের মত লাইন দিয়ে থাকে। কোচিং সেন্টার আর স্কুল গুলোতে তাঁদের ডিম্যান্ড থাকে প্রচুর। তাছাড়াও তো পাড়ার যজমান তো আছেই। ফল স্বরূপ পুজোয় হিমশিম খেয়ে উঠতে হয় পুরোহিত কুলকে। অনেকে তো পেরে উঠতে না পেরে বাইরে থেকে পুরোহিত ভাড়ায় নিয়ে আসে। বিনিময়ে তারা রোজ দাবি করে আকাশ ছোঁয়া। তবে শাড়ী গামছা ধুতি আর বাকি সামগ্রী যে ঠাকুর মশাই বরাত পান মূলত তার ভাগেই জোটে। সূর্য্য নগর গ্রামের চন্দ্রকনা আচার্য্য ও তার পুত্র রাজেশ্বর প্রায় দুই ডজন সরস্বতী পুজোর বরাত পেলো এই বছর। সেলস এক্সিকিউটিভ রাজেশ্বর যতটা সম্ভব কাজ সামলে বাবার প্রায় বেশির ভাগ পুজোর দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নেয়। বৃদ্ধ চন্দ্রাকনা আচার্য্য তাছাড়াও বাইরে থেকে একজন পুরোহিত নিয়ে আসেন যজমান দের সামনে নিজের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন। কারণ একবার যজমান হাত ছাড়া হলে অন্য ঠাকুর মশাই সেখানে নিজের খুঁটি পুঁতে বসবে। এক সময়ে যুবক আচার্য্য মশাই এইসব পুজো একা হাতেই সামলে দিতেন। কিন্তূ এখন তাঁর বয়স হয়েছে, তাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল সদ্য উপনয়ন হওয়া রাজেশ্বর। তাড়াহুড়া করে সমস্ত পুজো সে সম্পুর্ণ করে বাড়ি এসে কাপড় পাল্টে মা শান্তি দেবীর হাতের খিচুড়ি আর বেগুনি সেবা করে পাঞ্জাবি আর জিন্স পরে বেরিয়ে গেলো মাঝের হাটের ট্রেন ধরতে। গঙ্গার ঘাটে তার জন্য যে কেউ অপেক্ষায় আছে।