একদা যুদ্ধ শেষে এক কবি বেরোলেন যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করে একটা কবিতা রচনা করবেন সেই উদ্দেশ্যে। তিনি দেখলেন সৈন্যদের মৃতদেহ সারি সারি পড়ে রাস্তায় যারা তাদের দেশের জন্য আজ শহীদ হয়েছে। হয়তো তাদের প্রিয়জনের কানে খবর এখনও পৌঁছায় নি। চারদিকে ভাঙ্গা বাড়ি, রাস্তা, বড়ো বড়ো ইমারত। কোথাও বা ভাঙ্গা ফাইটার প্লেন ভেঙে পড়ে তো কোথাও মুখ উঁচু করে দাঁড়িয়ে গোলা দাগানো কামান। তাঁর মনে হলো উড়ন্ত চিল শকুনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে কঙ্কাল গুলো নাচতে শুরু করে দেবে যা দেখে মনে হবে আগুন আর বরফ একসাথে রোমান্স করছে। সত্যি তার মনে হলো হিংসার স্ফুলিঙ্গে শান্তির বাতাস দূষিত আর তা দেখে সুখ আজ নিজের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত। হিংসার বারুদ আর রেষারেষির কাঠি যেন তার দেশ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। এইসব ভাবতে ভাবতে সে দেখল ছোট্ট একটি মেয়ে তাদের বাড়ির উঠোনে কিছু একটা ছবি বুকে চেপে ধরে কেঁদে চলেছে অনবরত। কাছে এসে কবি তাকে শুধাল ছোট্ট খুকি কাঁদছ তুমি এহেন! উত্তরে মেয়েটি বুকে রাখা যীশুর ছবি দেখিয়ে কবিকে বললো ঈশ্বর শয়তান কে আশীর্বাদ করেছে কেন?
খুব মর্মান্তিক চিত্রায়ন
বাস্তব চিত্রায়ন এখন চাক্ষুষ