দেশের প্রধানমন্ত্রীর এহেন আকস্মিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিলো গোটা দেশ। সাথে সাথে বেড়ে উঠলো শিখদের প্রতি বিদ্বেষ। আশির দশকের এক বীভত্স টানাপোড়েনে আন্দোলিত হলো ভারতবর্ষ। জায়গায় জায়গায় শিখ বিরোধী স্লোগান আর মিছিল বের হলো। ফলে নানকের উত্তরসূরিরা হয়ে পড়লো কোণঠাসা। দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকায় বাস ছিল গুরুদাস সিং ও তার পরিবারের। সেইখানে হিন্দু মেজরিটি পাড়ায় তারা দীর্ঘদিন বসবাস করে এসেছে। কিন্তু ধর্মীয় ভাবাবেগে উস্কানি পেয়ে একদল যুবক সশস্ত্র অবস্থায় এসে পৌঁছাল তাদের বাড়ী। দাঙ্গার কারণে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই চারদিকে দোকান পাট বন্ধ, সুনসান সড়ক যেনো যমালয়ে যাওয়ার পথ। সশস্ত্র বাহিনী গুরদাসের বাড়ি কড়া নাড়লে গুরুদাস সিং হিন্দিতে জিজ্ঞেস করলো কে এসেছে এই রাত দুপুরে। উত্তরে তারা কিছু না বলে শুধু ঘন ঘন দরজায় আঘাত করতে লাগলো। শেষমেশ দরজা খুলে দিতে সশস্ত্রবাহিনী ভিতরে প্রবেশ করে দুটি হিন্দু একটি মুসলমান পরিবারের লোকদের বসে খেতে দেখে হতবাক হয়ে উঠলো আর সেই খাওয়ার পরিবেশন করছে গুরুদাস সিং এর স্ত্রী ও দুই পুত্রবধূ। তাদের হাতের অস্ত্রের দিকে না দেখেই গুরুদাস সিংয়ের স্ত্রী ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে বললেন আও বেটা সব হামারে লঙ্গরখানা মে খানা খা কে যাও।