সংসার নিয়ে দিশেহারা এক সজ্জন বুঝে উঠতে পারল না সে কি করবে। একদিকে তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত তো অন্যদিকে ছেলে নেশায় গ্রস্ত। মেয়ে পাঁচ বছর সংসার করে এক মেয়ে নিয়ে এসে উঠেছে বাপের বাড়ীতে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর। ওদিকে ছোটো ছেলে সরকারি চাকরি পাচ্ছে না। তার ওপরে বৃদ্ধ বাবা চোখের ছানি কাটানোর জন্য দুইবেলা বলছে তো মা বাতের ব্যথার কারনে বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছে। এমন অবস্থায় সেও বাজারে দেনা করে ফেলেছে তাই পাওনাদার প্রায় বাড়ি এসে কথা শুনিয়ে রায়। তাই সে এলাকায় জ্ঞানী মানুষদের কাছে গেল জিজ্ঞেস করতে যে এই দুঃখের সময়ে কি করলে ঠিক হবে আর কি করলে ভুল। কিন্তু কারও থেকে সদুত্তর না পেয়ে শেষে সে গৃহ ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে এক জঙ্গলে এসে হাজির হলো । কিন্তু সাধু বাবাকে ধ্যানে মগ্ন দেখে সে তাঁকে বিরক্ত না করে নমস্কার করে তাঁর সামনে করজোড়ে বসে রইল। টানা একশো ছয় দিন এভাবে বসে থাকার পর সাধুবাবা চোখ খুলে বললেন বল কি জানতে চাস? উত্তরে সজ্জন বললো যে পৃথিবীতে ঠিক সিদ্ধান্ত কি আর ভুল সিদ্ধান্ত কি? তিনি উত্তরে বললেন এই যে তুই এতদিন ধৈর্য ধরে বসেছিলিস আমার সামনে এটা ঠিক সিদ্ধান্ত। তখন সে জিজ্ঞেস করলো বাবা তবে ভুল সিদ্ধান্ত টা কি? উত্তরে হেসে সাধুবাবা বললেন এই যে আমরা ধৈর্য ধরতে না পেরে গৃহত্যাগ করেছি।